প্রথমে আমাদের জানতে, বুঝতে ও স্বীকার করতে হবে আমাদের মধ্যে চেতনা (Consciousness) আছে৷ আমাদের মন আছে। কোন কিছু দেখা, খাওয়া, গন্ধ নেয়া, ছোয়ার মাধ্যমে আমরা অনুভূতি লাভ করি, অভিজ্ঞতা লাভ করি। আমরা অনুভব করতে পারি৷ এগুলা কেউই অস্বীকার করতে পারবে না৷
এবার যদি আরেকটু গভীরে যাই –
কোন কিছু দেখা, খাওয়া,ছোয়ার মাধ্যমে আমরা যে অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা লাভ করি সেটা ব্যক্তি সাপেক্ষে ভিন্ন ভিন্ন৷ মানে কোন আইসক্রিম খেলে আমার যেমন অনুভুত হবে হুবুহু একই আপনার হবে না৷ এভাবে পৃথিবীর বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষের একই আইসক্রিম খাবার অভিজ্ঞতা ভিন্ন ভিন্ন হবে, একজনের সাথে আরেকজনের মিলবে না৷
তাহলে আমাদের স্বীকার করতে হবে যে আমাদের
Subjective Conscious Experience আছে৷


এরপর আমাদের প্রশ্ন করতে হবে এই অভিজ্ঞতা গুলোর উৎস কি?

এর উত্তর বের করা এত সহজ নয়। মস্তিষ্কের মধ্যে কিছু জড়,অন্ধ প্রক্রিয়া থেকে কিভাবে এরকম স্বচ্ছ অভিজ্ঞতা উৎপত্তি হয়? এই সমস্যার নাম দেয়া হয়েছে Hard Problem of Consciousness

প্রথমেই আমরা যেটার সম্মুখীন হবো তা হলো এর অনেক জীবতাত্ত্বিক , বস্তুবাদি, অবস্তুবাদি ব্যাখ্যার৷
এরা পরস্পর – বিরোধী পদ্ধতি। আমরা দেখবো কিভাবে এরা কেউই ” Hard Problem of Consciousness ” কে সমাধান করতে পারে না৷


প্রথমে যদি জীবতাত্ত্বিক পদ্ধতিতে যাই –
Francis Crick and Christof Koch’s Toward a Neurobiological Theory of Consciousness,
•Bernard Baars’s Global Workplace theory,
•Gerald Elderman’s and Giulio Tononi’s The Dynamic Core theory,
•Rodolfo Llinas’s Thalamocortical Binding theory,
•Victor Lamme’s Recurrent Processing theory,
•Semir Zeki’s Microconsciousness theory and Antonio Damasio’s The Feeling of
What Happens theory
এসব বইতে জীবতাত্ত্বিকভাবে consciousness কে ব্যাখার করার চেষ্টা করা হয়েছে৷ অনেক তত্ত্বের মারপ্যাঁচ সত্তেও এরা কেউই Hard Problem of Consciousness কে সমাধান কর‍তে সক্ষম হয় নি। এই পদ্ধতির সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন অধ্যাপক ডেভিড চ্যালমার –
১.Hard Problem of Consciousness কে এড়িয়ে অন্যকিছু ব্যাখ্যা করে,
২.Hard Problem of consciousness সমস্যাটিকেই অস্বীকার করে,
৩. তাদের দাবি আমাদের মস্তিষ্কের কর্মকান্ড বুঝলেই নাকি Subjective conscious experience কে ব্যাখ্যা করা যাবে!
৪. অনুভুতির কাঠামো ব্যাখ্যা করে। কিন্তু আমাদের অনুভূতি কেন আছে সেটার ব্যাপারে কিছু বলে না এটা।
৫. অনুভূতির মূল ভিত্তিকেই আলাদা করে ফেলা। নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া বুঝে অনুভূতির স্নায়ুবিক ভিত্তিকেই আলাদা করে ফেলে এই কৌশল। কিন্তু Subjective Conscious experience থাকার মানে কি সেটার ব্যাখ্যা করতে পারে না৷


এরপর আসি বস্তুবাদি পদ্ধতি ও অবস্তুবাদি পদ্ধতিতে৷ এখানে শুরুতে একটা কথা ভালোভাবে মাথায় রাখা উচিত এসব পদ্ধতিতে আগে থেকেই কিছু ধারণা পোরা থাকে। প্রত্যেক বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের পিছনে কিছু দার্শনিক ধারণা পোরা থাকে যেমন :
Philosophical Naturalism : এটি বস্তুজগতের বাইরে সব অবস্তুগত ব্যাপার সরাসরি অস্বীকার করে
Methodological Naturalism : এটি বস্তুজগৎ নিয়ে কাজ করে অবস্তুগত ব্যাপার আছে কি নেই তা নিয়ে মাথা ঘামায় না, কিন্তু অস্বীকারও করে না সরাসরি। Professors Ricardo Manzotti এবং Paolo Moderato বলেছেন,
স্নায়বিজ্ঞান মেটাফিজিক্যালি নিস্পাপ নয়


তো বস্তবাদি ব্যাখ্যায় প্রথমে আসে-

Eliminative Materialism ( বজর্নমুখী বস্তুবাদ) : এদের মতে সবকিছুকেই জড় প্রক্রিয়ায় সাহায্যে ব্যাখ্যা করা সম্ভব৷ এরা Subjective Conscious Experience যে আছে সেটার অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে সরাসরি৷ তাদের কাছে Subjective Conscious Experience হলো এক মায়া ( Illusion)। যে জিনিসের ব্যাখ্যা আমরা জানতে চাচ্ছি, Eliminative Materialism শুরুতেই তা এড়িয়ে যাচ্ছে৷

Reductive Materialism ( খন্ডতামূলক বস্তুবাদ) : এই মতবাদ Subjective Conscious Experience এর অস্তিত্ব স্বীকার করে, কিন্তু জড় প্রক্রিয়া থেকে একে আলাদা করতে চায় না৷ তাদের মতে Subjective Conscious Experience এবং স্নায়ু-রাসায়নিক কর্মকান্ড একই ও তারা ভাবে জড়প্রক্রিয়া দিয়ে তা ব্যাখ্যা করা সম্ভব। তারা স্বীকার করে Subjective Conscious Experience ও জড় প্রক্রিয়ায় মধ্যে আমাদের জ্ঞানের ঘাটতি রয়েছে কিন্তু মনে করে বস্তবাদি দর্শন এই ঘাটতি দূর করতে পারবে৷তারা বলে একসময় স্নায়ুবিজ্ঞান নাকি সব সমস্যার সমাধান করে ফেলবে৷

Behaviourism ( আচরণবাদ) : এটি বলে অনুভূতিকে আচরণের পরিভাষায় ব্যাখ্যা করা সম্ভব৷
এই পদ্ধতি অনূভুতিকে একটি শারিরীক অবস্থার সাথে তুলনা করে কিন্তু অনুভুতিই যে আচরণের জন্মে দেয়, এটাকে সে এড়িয়ে যায়৷

Functionalism : এটি বলে আমাদের কাজ হলো –
ইনপুট, মানসিক অবস্থা আর ফলের মধ্যে সম্বন্ধ৷ এই পদ্ধতি জনপ্রিয় কিন্তু Hard Problem of Consciousness এর ব্যাখ্যায় তেমন একটা কার্যকর না। কারণ Subjective Conscious experience কে যেহেতু ক্রিয়াকলাপ দিয়ে বোঝা সম্ভব না, তাই Functionalism কখনই Subjective Conscious Experience কে নিরীক্ষণ করতে পারবে না।

Emergent Materialism : এই মতবাদ গঠিত বস্তুর আবির্ভাবের ধারণার উপর ভিত্তি করে৷ এর দুর্বল, শক্তিশালী দুইটি ধরণ আছে –

দুর্বল ধরনটি বলে, আমরা subjective conscious experience বুঝে যাবো সব জটিল প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বুঝে যাওয়ার পর৷ এই ধরনটি subjective conscious experience অনুভব কর‍তে কেমন তা বলতে পারে না৷

শক্তিশালী ধরনটি বলে, Subjective Conscious Experience প্রাকৃতিক ঘটনা৷ তবে এর বাস্তবতা বোঝার জন্য যেকোন জড়বাদি তত্ত্বই মানুষের উপলব্ধি সামর্থ্যের বাইরে৷ এটি আরো বলে অনেক জটিল প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া থেকে আমরা নতুন কিছু পেতে পারি। কিন্তু এই জিনিসটা কিভাবে এলো, জানার এই ঘাটতি সব সময় থেকে যাবে৷ শক্তিশালী ধরণটি আসলে আমরা যে সমস্যার সমাধান চাচ্ছি তাকে আরো রহস্যে মুড়ে রাখছে,এর দ্বারা তো কোন সমাধান আসতেসে না৷

প্রফেসর ফ্র‍্যাংক জ্যাকসন তার বিখ্যাত Mary Argument দ্বারা দেখিয়েছেন যে বস্তুবাদ, স্নায়ুবিজ্ঞান কখনই hard problem of consciousness সমাধান করতে পারবে না৷ তার এই argument এখন পর্যন্ত বস্তুবাদের জন্য বিশাল ধাক্কা স্বরুপ৷ যদিও একে রদ করার জন্য অনেক পাল্টা জবাব ( The Ability Hypothesis) এসেছে কিন্তু সেগুলো ফলপ্রসূ নয়৷

এরপর অনেকে দাবি করে বিজ্ঞান একসময় hard problem of consciousness কে ব্যাখ্যা করতে পারবে৷ কারণ হিসেবে তারা দেখায় বিজ্ঞানের ক্রমাগত অগ্রগতিকে৷ কিন্তু তারা যদি philosophy of science পড়ে তারা বুঝতে পারবে বিজ্ঞান third person viewpoint থেকে কোন কিছু পর্যবেক্ষণ করে ব্যাখ্যা দেয়, কিন্তু এই দিকে subjective conscious experience পুরোটাই ব্যক্তিসাপেক্ষ ( first person viewpoint) . তাই বিজ্ঞান কি করে এর ব্যাখ্যা দিতে পারে??

আবার বিজ্ঞানের একটা সাধারণ দিক হলো
Reductive Explanation – মানে উচ্চ লেভেলের কোন ঘটনাকে নিম্ন লেভেলের সুত্র ও পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা৷ যেমন : গ্যাসের উচ্চ লেভেলের চাপ ও তাপমাত্রা সংক্রান্ত ঘটনাকে নিম্ন লেভেলের সূত্র ও গ্যাসের অনুর গঠনের পদ্ধতিতে দিয়ে ব্যাখ্যা করা৷ তাইলে বিজ্ঞান কি করে Subjective Conscious Experience এর মত ব্যাপারের reductive explanation দিবে?

এখানে একটা ব্যাপার বলে রাখা দরকার আমাদের মস্তিষ্কের সাথে আমাদের consciousness এর একটা সম্বন্ধ (Correlation) আছে কিন্তু অনেকে এটি Causation এর সাথে গুলিয়ে ফেলে দুইটা কিন্তু আলাদা৷ আমরা Correlation অস্বীকার করছি না৷

স্নায়বিজ্ঞান যে কখনই hard problem of consciousness সমাধান কর‍তে পারবে না এই প্রসঙ্গে ডেভিড প্যাপিনোর একটি argument আছে :

• E নামক একটি স্নায়ুরাসায়নিক ঘটনা P নামক একটি conscious experience এর অনুরুপ।
• E অনুপস্থিত থাকতে পারে না যখন P এর উপস্থিতি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করা যায়৷
• E উপস্থিত  থাকতে পারে না যখন P এর অনুপস্থিতি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করা যায়৷
• P এর জন্য E কে প্রয়োজনীয় ভাবে উপস্থিত থাকতে হবে৷
• E মাঝে মাঝে অনুপস্থিত থাকতে পারে যখন P এর উপস্থিতি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করা যায়৷
• E মাঝে মাঝে  উপস্থিত  থাকতে পারে  যখন P এর অনুপস্থিতি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করা যায়৷
• P এর জন্য E এর জরুরি নয়।

সহজ করে বুঝাতে গেলে  Consciousness এর ভিত্তি হিসেবে মস্তিষ্কের ফাংশনকে দাড় করাতে হলে Consciousness এর জন্য মস্তিষ্কের ফাংশনকে  সবসময় উপস্থিত থাকতে হবে৷ কিন্তু পরীক্ষায় দেখা গেছে অনেক ক্ষেত্রেই কোন স্নায়ুরাসায়নিক ফাংশন ছাড়াই Subjective Conscious Experience লাভ করেছে কোন ব্যক্তি৷ আবার স্নায়ুরাসায়নিক ফাংশন বিদ্যমান ছিল কিন্তু Conscious Experience ঘটে নি এমন ও কেস আছে৷ ফলে বলা যায় Subjective Conscious Experience এর জন্য স্নায়ুরাসায়নিক ফাংশন জরুরি নয়৷

Hard Problem of Consciousness এর জীবতাত্ত্বিক ও বস্তুবাদি ব্যাখ্যা ব্যর্থ হবার পর আমরা দেখবো কিছু অবস্তুবাদি পদ্ধতি যেগুলো Consciousness কে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছে৷ এরপর আমরা দেখবো আস্তিকতা মূলক ব্যাখ্যা কিভাবে সব থেকে ভাল ব্যাখ্যা এই সমস্যার৷


অবস্তুবাদি পদ্ধতির প্রথমেই আছে –
Substance Dualism : এই মতবাদ বলে দুই ধরনের সত্তা আছে, শারীরিক , অশারীরিক
এই দুইটি পরস্পর আলাদা, কেউ কারও অধীন নয়৷ অনুভূতিবোধের ব্যাপারে এটি বলে –
অনূভুতিবোধ ও মস্তিষ্ক আলাদা৷ তারা একই উপাদানে তৈরী নয় কিন্তু একসাথে কাজ করে। এই মতবাদের ব্যাপারে একটা শক্ত আপত্তি হলো –
এই মতবাদ বলে যেহেতু অনুভুতিবোধ আর মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ আলাদা তাই এরা কিভাবে একসাথে কাজ করে তা জানা অসম্ভব।
এই আপত্তিটি আসলে একটি ভুল ধারণার উপর থেকে এসেছে : A থেকে কিভাবে B এল তা যদি জানা না যায় তাহলে, B এর কারণ হিসেবে A কে বিশ্বাস করা যাবে না৷
আস্তিক্যবাদি মতের বিরুদ্ধে Substance Dualism শক্ত প্রতিপক্ষ কিন্তু তাও কিছু প্রশ্ন থেকেই যায় – এই অশারীরিক সত্তা কিভাবেই বা এল, জড় মহাবিশ্বে এটি কিভাবে আছে?

Epiphenomenalism : এই মতবাদটি বলে অনুভূতি ও জড় অবস্থা দুটি আলাদা কিন্তু কোন জড় কারণেই অনূভুতির সৃষ্টি হয়, উল্টোটা হয় না৷ তাদের মতে, It is a lucky accident. এই মতবাদটিও consciousness এর ব্যাখ্যায় টিকে না৷ বরং এই মতবাদ সত্য হলে আমাদের মনস্তত্ত্ব ধসে পড়বে৷ অন্য দিকে রিসার্চাররা খুজে পেয়েছেন আমাদের মন আমাদের মস্তিষ্কের রাসায়নিক কার্যকলাপে পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

Panpsychism ( সর্বচেতনবাদ) : এই মতবাদটি অনেকটা Property Dualism এর মত৷ এই মতবাদ বলে কোন জড় পদার্থের অস্তিত্ব আছে কিন্তু এর জড় ও অজড় দুইটি গুণ রয়েছে৷ এই মতবাদ আরো বলে পদার্থের প্রতিটি উপাদানেই যেহেতু Consciousness আছে , তাই Brain Consciousness ও এসবের সম্মিলিত ফল৷
এই মতবাদের বিরুদ্ধে যেসব আপত্তি আছে সেগুলো হল :
পদার্থের মাঝে যে নিজস্ব Consciousness আছে সেটার প্রমাণ নেই৷ প্রোটিন, ইলেকট্রন, কোয়ার্ক বা পরমাণু কেউই Consciousness দেখায় না৷
এরপর পদার্থের মাঝে Consciousness কিভাবে আছে সেটারও কোন মেটাফিজিক্যাল বা বস্তুবাদী ব্যাখ্যা দিতে পারে না এই মতবাদ ৷ অসংখ্য Conscious পদার্থের টুকরা থেকে কিভাবে একটি অর্থবহ সমন্বিত অনুভুতির জন্ম হয়? মস্তিষ্ক গঠনকারী জড় অংশগুলোতে থাকা অসংখ্য conscious উপাদানের ফলেই যদি আমাদের Subjective Conscious experience জন্ম নিতো তবে তা হতো অসংগতিপূর্ণ বা কম সমন্বিত৷


কেন আল্লাহর অস্তিত্বই এই ব্যাপারে সেরা ব্যাখ্যা?


Subjective Conscious experience এর ব্যাখ্যায় একজন ইচ্ছাশক্তি ও উদ্দেশ্য সম্বলিত All- Aware সত্তাকে মেনে নেয়াই সবচেয়ে যুক্তিগত৷ Consciousness কিভাবে জাগতিক দুনিয়াতে প্রবেশ করলো সেটার ব্যাখ্যা দেয় আস্তিক্যবাদ। আত্না কিভাবে মানুষ ও প্রানীর শারীরিক দিকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এমনকি নিয়ন্ত্রণ করে সেটাও আস্তিক্যবাদ বেশ সহজভাবে ব্যাখ্যা করে৷ মহান আল্লাহর ইচ্ছাশক্তি, ক্ষমতা ও প্রজ্ঞা এমন একটা জগৎ নিশ্চিত করে যেখানে শরীর ও আত্না সহজেই যোগাযোগ করতে পারে৷ আল্লাহর ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে জড় মহাজগৎ এ উদ্ভব হয় Consciousness এর৷ আস্তিক্যবাদে consciousness কে দেখা হয় বাস্তবতার অংশ হিসেবে৷ আল্লাহ যেহেতু All-aware সত্তা, চিরজীবি, সর্ববিষয়ে সচেতন, তাঁর সৃষ্টজগতের সত্তা গুলো নিজেদের ব্যাপারে সচেতন হবে এই ব্যাপারে অবাক হওয়ার কিছু নেই৷ চালর্স তালিয়াফেরো এর মতে,

‘বস্তুবাদি দৃষ্টিতে consciousness এর উদ্ভবকে অদ্ভুত মনে হলেও আস্তিক্যবাদের চোখে, Consciousness এর উদ্ভবকে দেখা হয় বাস্তবতার আসল প্রকৃতির গভীরে বোনা৷ প্রানী ও মানুষের Consciousness কোন বিচ্ছিন্ন অলৌকিক ঘটনা নয় ; বরং বাস্তবতার মৌলিক কাঠামোর প্রতিফলন’

মহাবিশ্বের শুরুতে যদি শুধু পদার্থের অস্তিত্ব থাকত, তাহলে Consciousness থাকতো না৷ তবে শুরুতে যদি একজন সচেতন সত্তা সৃষ্টি করে থাকেন মহাবিশ্বকে তাহলে অজড় মানসিক অবস্থার সাথে শরীরী মস্তিষ্কের যোগাযোগ অর্থবহ করে।

আর আস্তিক্যবাদের ব্যাখ্যাটি dualism এর একটি ধরণ যাকে বলা যায় Theistic Dualism.

______________________________

Hard Problem of Consciousness এর ব্যাখ্যায় Hamza Tzotzis এর Apporach কে এইখানে সহজ ভাবে ব্যাখ্যা করা হলো। আরও ভালোভাবে জানতে উনার লিখিত The Divine Reality বইটি পড়তে পারেন।